লালমনিরহাট জেলা সদরের পরিত্যাক্ত মোগলহাট স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর।
লালমনিরহাট সীমান্তবর্তী মোগলহাট স্থলবন্দর করার বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর-এর নিকট সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় একটি প্রতিবেদন চেয়েছেন।
তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের পরিত্যাক্ত স্থলবন্দর পরিদর্শনে আসেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক।
এ সময় তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট সদর উপজেলা ভূমি অফিসার মোঃ রুবেল রানা এবং মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব।
ভারত থেকে সহজে পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশের মোগলহাটের সক্ষমতা ও সুযোগ সুবিধা পর্যবেক্ষণ করেন তারা।
লালমনিরহাটের সীমান্তবর্তী মোগলহাট স্থলবন্দর পুনঃরায় সচল হলে দেশের উত্তরের জনপদের সঙ্গে খুলতে পারে চার দেশীয় ব্যবসা বাণিজ্যের একটি নতুন দ্বার। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানিতে পরিবহণ খরচ কমবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
লালমনিরহাটের মোগলহাটে এক সময় এখান থেকে ভারতের সঙ্গে ছিল সরাসরি রেলওয়ের যোগাযোগ। মোগলহাট স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টও ছিলো কিন্তু ১৯৮৮ সালে গুরুত্ব হারায় মোগলহাট স্থলবন্দরটি, পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ১৯৯৫ সালের দিকে।
অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের মোগলহাট অংশে ধরলা নদীর তীর পর্যন্ত সড়ক পথের উন্নয়ন করা হয়। এছাড়া নদীর দুইপাড়েই আছে পরিত্যাক্ত রেলওয়ে স্টেশন। এটি সচল হলে দেশের উত্তর জনপদের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল, আসাম ছাড়াও ভুটান এবং নেপালের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। তাই এই স্থলবন্দর পুনঃরায় চালুর দাবি অনেকেরই।
স্থানীয়রা জানায়, দুই দেশের সরকার যদি এই স্থলবন্দরটি চালু করে খুব অল্প সময়ে আমরা এখান থেকে আসাম প্রদেশে যেতে পারবো। আমরা আশায় আছি এই স্থলবন্দরটি চালু হবে। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক দিয়েও এই অঞ্চলটি সমৃদ্ধ হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।